Thursday, January 31, 2019

বিদেশে পাসপোর্ট হারালে করনীয়


মূল কথায় আসার আগে জেনে নিই দেশে থাকতেই পাসপোর্ট হারালে কী করতে হবে-
পাসপোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। বৈধভাবে একজন মানুষের একটিই পাসপোর্ট থাকতে পারে। তাই পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে তার বিপরীতে নতুন পাসপোর্ট করতে হয়।

পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে প্রথমেই কাছের থানায় সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করতে হবে। এরপর নতুন পাসপোর্টের জন্য পাসপোর্ট অধিদপ্তরে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে জিডির মূল কপি, একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও একটি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি। হারানো পাসপোর্টের ফটোকপি সাথে দিতে পারলে ভালো হয়। সে কারণে সব সময় পাসপোর্ট কিছু ফটোকপি এবং নাম্বারসহ অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করা ভালো।

জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্ট পেতে চাইলে ৬০০০ টাকা নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ৭২ ঘন্টার মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। পাসপোর্টের সাধারণ ফি ৩০০০ টাকা। এ ফি জমা দিলে পাসপোর্ট পেতে সময় লাগবে ৭ দিন। উভয় ক্ষেত্রে পুরনো রেকর্ড অথবা পুলিশি প্রতিবেদন পর্যালোচনা সাপেক্ষে পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে। তাই এসব তথ্য ও পুলিশি প্রতিবেদন সংক্রান্ত জটিলতায় পাসপোর্ট পেতে বিলম্ব হতে পারে।

এবার মূল প্রসঙ্গে আসি-
চাকরি, ব্যবসা, ভ্রমণ বা শিক্ষার্থী হিসেবে বিভিন্ন দেশে প্রতিনিয়তই আমাদের যেতে হয়। বিদেশে যাওয়ার পর আমার পরিচয় বহনের একমাত্র প্রমাণ হলো পাসপোর্ট। কিন্তু কোনো কারণে পাসপোর্ট যদি হারিয়ে যায় তাহলে বিদেশের মাটিতে নানা ঝামেলায় পড়তে হয়। অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সঠিক প্রমাণাদির অভাবে কারাগারেও যেতে হতে পারে আপনাকে। তাই বিদেশের মাটিতে পাসপোর্ট হারালে কী করবেন? চলুন সে বিষয়ে জেনে নিই।

মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে যারা চাকরি নিয়ে যান তাঁদের অনেককে মালিকের কাছে পাসপোর্ট জমা দিতে হয়। মালিক পক্ষ থেকে তাদের সরকারি বিভিন্ন অনুমোদন করিয়ে দেওয়া হয়। তবে নিজের প্রয়োজনে পাসপোর্টের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে। কিন্তু কেউ যদি ব্যবসা, ফ্রি ভিসায় চাকরি করতে যান তাঁদের উচিত পাসপোর্ট সব সময় সঙ্গে রাখা। 
তারপরও দুর্ঘটনাবশত পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে বাংলাদেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে। পাসপোর্টের ফটোকপি ও রোডপাস বা রাস্তায় চলাচলের প্রত্যয়নপত্র (যদি সঙ্গে থাকে) নিয়ে যোগাযোগ করলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে আপনাকে নতুন পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তা করা হবে।

ভ্রমণের সময় পাসপোর্ট খোয়ালে
আপনার বিদেশ ভ্রমণের পুরো আনন্দটাই মাটি হতে পারে যদি আপনি পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেন। কোনো কারণে যদি তা হারিয়েই ফেলেন তাহলে সবার আগে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে বাংলাদেশ হাই কমিশনে। কোনো ট্যুর অপারেটর বা ট্র্যাভেল এজেন্সি যদি আপনার ভ্রমণে সহায়তা করে থাকে তবে তারাই আপনাকে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সহায়তা করবে। এরপর আপনাকে সহায়তা করবে বাংলাদেশ হাই কমিশন। বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস ও ইমিগ্রেশন আপনার সব তথ্য পর্যবেক্ষণ করে বাংলাদেশ হাই কমিশনকে একটি পত্র বা দরখাস্ত পাঠাবে। এ পত্র বা দরখাস্তই আপনাকে সুন্দরভাবে দেশে ফিরে আসতে সহায়তা করবে।

বিদেশে অবস্থান করার সময় নিজের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে সে দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাসের কনস্যুলার শাখা থেকে বাংলাদেশিরা তাদের পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারবেন। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাসের আগেই নবায়ন করা ভালো।

বিদেশে নিজের বৈধতার সনদ হচ্ছে পাসপোর্ট। এই পাসপোর্টের ভিত্তিতেই নির্ধারণ করা হবে আপনি বৈধ, না অবৈধ। তাই পাসপোর্ট যত্ন করে রেখে দেবেন। কোনোভাবেই হাতছাড়া করবেন না। বিদেশে বৈধ পাসপোর্ট অনেকে অবৈধভাবে বেচাকেনা করে। টাকার বিনিময়ে একজনের বৈধ পাসপোর্ট অবৈধ ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। তাই পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে দ্রুত পদক্ষেপ নিন। অনেক ক্ষেত্রে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান কর্মীদের পাসপোর্ট রেখে এর বিনিময়ে একটি 'পাস' বা কার্ড দেয়। কর্মীরা যাতে পালিয়ে গিয়ে অন্য কোথাও কাজ করতে না পারে, তার জন্য এমনটি করা হয়। বাস্তবতা যাই হোক না কেন বিদেশে গেলে পাসপোর্টের প্রতি আপনাকে বাড়তি সতর্ক হতেই হবে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Thursday, January 24, 2019

প্রকৃতি ভ্রমণপ্রিয়রা সাবধান, জেনে নিন চোরাবালি সম্পর্কে!


চোরাবালি কি? এর থেকে বাঁচার উপায় কি? জনসচেতনতায় ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশ।

গত মঙ্গলবার বিকেলে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখালে বেড়াতে গিয়ে চোরাবালিতে আটকা পড়ে কিশোরগঞ্জের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আসুন আমরা সচেতন হই; চোরাবালি সম্পর্কে জানি .....

চোরাবালি জিনিসটা আসলে কি? এতে একজন মানুষ পড়লে সে ডুবে যায় কেন? এর থেকে বাঁচার উপায় কী?
সাধারণভাবে আমরা চোরাবালি বলতে বুঝি- যখন বালি, কাদা বা নুড়ি গর্ভস্থ পানির প্রবাহের সান্নিধ্যে আসে, সেই বালি বা নুড়ির দানাগুলোর মধ্যে যে ঘর্ষণ শক্তি থাকে তা কম হয়ে যায়, আর সেই বালি বা মাটি ভার সহ্য করতে পারে না- একেই চোরাবালি বলে।
পানি শুধু মাটির উপরেই না মাটিন নিচেও থাকে। প্রাকৃতিকভাবে ভূগর্ভে পানি থাকার এই ঘটনা ঘটে দুই ভাবে। ১- Flowing underground water/spring ২- Earthquake। এই আটকে পড়া পানি তার চারপাশের soil কে সিক্ত করে। এভাবে liquefied হতে হতে এক পর্যায়ে বালির অণুগুলোর মধ্যে যে friction থাকে তা কমে যায় এবং বালি পানির অণুর মত আচরণ করে। ভেজা এই বালি এক পর্যায় এমন অবস্থায় যায় যে সে কোন ভারি বস্তুর চাপ নিতে পারে না। solid water এ কিছু পরলে সাথে সাথে ডুবে যায় আর চোরাবালি তে কিছু পরলে তা ধীরে ধীরে ডুবে। মূলত এটাই বৈজ্ঞানিক ব্যাখা। 
এ ধরনের ব্যাপার আমরা সমুদ্র সৈকতে দেখতে পাই। সমুদ্রধারের বালিতে যদি কেও দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে খানিকক্ষণ পর দেখা যাবে যে ধীরে ধীরে তার পা বালির ভেতর বসে যাচ্ছে। এটাও এক ধরনের ছোটখাটো চোরাবালি। তবে এ ধরনের চোরাবালির গভীরতা মাত্র কয়েক ইঞ্চি হয়। তাই সেসব স্থানে শুধু আমাদের পায়ের পাতা ডোবে। তবে যে সব স্থানে এর গভীরতা বেশি সেসব স্থান খুবই ভয়ংকর।
চোরাবালি পানি ও তরল কাদা মিশ্রিত এমনই একটি গর্ত, এর ফাঁদে একবার পা দিলে আর নিস্তার নেই। আস্তে আস্তে ডুবে যেতে হয় বালির ভেতর। যত নড়া যায় ততই ডুবে যেতে থাকে শরীর। সাধারণত নদী বা সমুদ্রতীরে কাদা মিশ্রিত বালির ভেতরে লুকানো অবস্থায় থাকে চোরাবালি। কোনও মানুষ যদি সেই গর্তের ধারে-কাছে যায়, তাহলে শরীরের চাপে ওই বালি ক্রমে সরে যেতে থাকে। ফলে মানুষ শত চেষ্টা করেও আর ওপরে উঠে আসতে পারে না। চোরাবালিতে পড়ার পর সেখান থেকে উঠে আসার জন্য চেষ্টা করলে শরীরের চাপে আরও দ্রুত ডুবে যেতে হয়। সময়মতো কেও এগিয়ে না এলে ওই মানুষ নিশ্চিত মৃত্যুকোলে ঢলে পড়ে। তবে অধিকাংশ চোরাবালি সাধারণত মারাত্মক নয়। তবে এটি প্রকৃতির একটি অদ্ভুত বিস্ময়।
যেসব জায়গায় পানি বেশি, সেসব জায়গায় চোরাবালি থাকার সম্ভাবনাও বেশি। যেমন জলা, নদী, খাল, সমুদ্রতীর এবং জলাভূমি। যেসব জায়গায় ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহ থাকে সেখানে চোরাবালি থাকতে পারে বা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
চোরাবালিতে আটকে গেলে একদমই অধৈর্য হওয়া যাবে না। অধৈর্য হয়ে হাত-পা ছোড়াছুড়ি করলে আরও বেশি আটকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সবার মনে রাখা উচিত, চোরাবালি কিন্তু পানির চেয়ে অনেক বেশি ঘন। তাই চোরাবালিতে ভেসে থাকা পানির চেয়ে অনেক বেশি সহজ। যদি সঙ্গে কোনও ভারি বস্তু থাকে তাহলে তা ছেড়ে ফেলতে হবে। কারণ ভারি বস্তু আরও বেশি দ্রুত নিচে টেনে নিতে পারে।
মানুষের শরীরের ঘনত্ব 62.4 pounds প্রতি কিউবিক ফুটে। চোরাবালির ঘনত্ব পানির থেকে বেশি। অর্থাৎ মানুষ যদি পানিতে ভেসে থাকতে পারে , তাহলে চোরাবালিতেও অনায়াসে পারবে, যেহেতু চোরাবালির ঘনত্ব পানির থেকে বেশি। তাই চোরাবালিতে পড়ে গেলে একদম নড়াচড়া করা যাবে না। যত মুভমেন্ট হবে তত ডুবে যাবার আশংকা বাড়বে। চোরাবালি শুধু সমুদ্র সৈকতেই থাকে না। নদীর পাড়ে, হাওর এর আশে পাশেও থাকতে পারে।
বেশিরভাগ চোরাবালির গভীরতা কম হয়। খানিকটা ডোবার পর হয়তো পা তলায় আটকে যেতে পারে। যদি তা না হয়, মানে যদি চোরাবালি খুব গভীর হয় তাহলে পুরোপুরি ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে যেমন পানিতে আমরা যেভাবে সাঁতার কাটি, ঠিক সেভাবে নিজের শরীরকে যতটা সম্ভব অনুভূমিক করে ফেলতে হবে। তারপর খুব ধীরে ধীরে সাঁতরে চোরাবালির বাইরে আসার চেষ্টা করতে হবে। সাথে যদি অন্য কোনও ব্যক্তি থাকে তাহলে তাকে বলতে হবে নিরাপদ দূরত্ব থেকে রশি ফেলতে এবং এই রশি ধরে ধীরে ধীরে চোরাবালি থেকে উঠে আসা যাবে।
(সংগৃহীত)


ভালো থাকুন | School of Awareness

প্রতিশোধক ছাড়া বর্ষায় বান্দরবান গেলে মৃত্যু হতে পারে!


একাত্তর টিভির এই সাংবাদিক কিছুদিন আগে থানচির খাদ্য সংকট নিয়ে রিপোর্ট করতে বড় মোদক গেছিলো। ফিরে এসে কালকে সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ায় মারা গেছে। গত বছরও আমাদের দুইটা ভাই বান্দরবান থেকে এসে মারা গেছে। প্রতি বছর কেউ না কেউ মারা যাচ্ছে। জ্বর হওয়ার ৩৬ ঘন্টার ভিতরই মারা যাচ্ছে।

বর্ষায় প্রতিশোধক ছাড়া কেউ বান্দরবান যাবেন না। বিভিন্ন ওষুধ আছে, যাওয়ার দুইদিন আগে থেকে খাওয়া শুরু করতে হবে। কোর্স কমপ্লিট করতে হবে। শরীরের অংশ যদ্দুর সম্ভব ঢেকে রাখেন। ফুল হাতার জামাকাপড় ভালো। ওডোমাস জাতীয় লোশন চারঘন্টা পরপর শরীরের খোলা জায়গায় মাখবেন। মশারি ছাড়া ঘুমাববেন না। তাঁবু হলে মশা চেক করেন ভালোমতো। বর্ষায় বান্দরবান মানে অনেক বেশি সতর্কতা। মশার কামড়ে মরে যাওয়াটা কাজের কথা না।

কেউ বলতে পারেন পাহাড়িরা কী সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ায় মারা যায়না? হুঁ তারাও যায়। তবে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি। খাদ্যাভ্যাস, জিনগত ব্যাপার, সব মিলায়ে তাদের এন্টিবডি আমাদের চেয়ে ডেভলপড থাকে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

ফ্লাইট মিস হলে করনীয়


ফ্লাইট মিস করেছেন? কালকে অবশ্যই যাচ্ছেন, জেনে নিন কী করবেন।

প্রবাসীদের আস্থার জায়গা এখন এয়ারপোর্ট ম্যাজিস্ট্রেটরা। অসংখ্য উদাহরণের মধ্যে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনাটা না বললেই নয়, ২০ মার্চ রাতের ২টায় ফোন আসে এয়ারপোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইউসুফের কাছে। কান্না শুনে কিছুই না জিজ্ঞেস করে তিনি ঘুমের ঘোরেই রসিকতার ছলে বলেন, 'ফ্লাইট মিস? কালকে অবশ্যই যাচ্ছেন, কান্না বন্ধ করে ঘুমান, আমারেও ঘুমাইতে দেন, গুডনাইট। ' ভোরে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই ডায়াললিস্ট থেকে ওই প্যাসেঞ্জারকে ফোন করে ৯টার মধ্যে চেম্বারে আসতে বলেন।

ফেনীর দাগনভূইয়ার বাসিন্দা সৌদিপ্রবাসী জনাব জাহাঙ্গীর আলম কিছুদিন আগে একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার রিটার্ন টিকেট নিয়ে দেশে আসেন। গত ১৯ মার্চ রাত ২টায় ছিল তাঁর ফিরতি ফ্লাইট। দিনরাতের সময়ের হিসেব গড়মিল করে তিনি এয়ারপোর্টে আসেন পরদিন দুপুর ২টায়। ফ্লাইট মিস। দৌড়ে গেলেন তেজগাঁও একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার রিজার্ভেশন অফিসে। 'নো শো চার্জ' দিয়ে টিকেট রি-ইস্যু করতে। অফিসার সিস্টেম চেক করে বললেন, 'আপনিতো ১৯ তারিখেই সৌদি চলে গেছেন!'

জাহাঙ্গীর হতবাক হয়ে বললেন, 'আমি তো আপনার সামনে দাঁড়িয়ে, সৌদি গেলাম কিভাবে?'

অফিসারের সাফ জবাব, 'কিচ্ছু করার নেই। আপনি চলে গেছেন অথবা আপনার নামে অন্য প্যাসেঞ্জার চলে গেছে। আপনি আপনার ট্রাভেল এজেন্সির সাথে কথা বলে নতুন করে টিকেট করে আসেন। ' মাথায় আসমান ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। হাতে কয়েকটা টাকা আছে মাত্র। থাকবে কোথায়, যাবে কোথায়..তার ওপর নতুন টিকেট কেনার টাকা! সৌদি এক আত্মীয়ের কাছে ফোন করলে জাহাঙ্গীরকে ফোন নম্বর দিয়ে এয়ারপোর্ট ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের কথামতো ২১ মার্চ ৯টার মধ্যেই চেম্বারে জাহাঙ্গীর তাঁর চেম্বারে হাজির হয়।

ডাকা হয় এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে। সমস্ত কাগজপত্র ও সিস্টেম পরীক্ষা করে দেখা যায় যে ওই দিন নির্ধারিত ফ্লাইটে জাহাঙ্গীর নামের দুই প্যাসেঞ্জার থাকায় এবং এই জাহাঙ্গীর অনুপস্থিত থাকায় তার টিকেটেই এয়ারলাইন্স অন্য জাহাঙ্গীরকে ভুলক্রমে বোর্ডিং পাস ইস্যু করে দেয়। নিয়ম অনুযায়ী টিকেটের নম্বর সিস্টেমে চেক করে নিলে এ ভুল হওয়ার কথা নাহ। ম্যাজিস্ট্রেট ইউসুফ সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে যে সিদ্ধান্ত দেন-

১) আজকের রাতের ২টার ফ্লাইটেই জাহাঙ্গীরকে সৌদি পাঠাতে হবে। ২) জাহাঙ্গীর নিজ কারণে প্রথম ফ্লাইট মিস করার জন্য যে ৬-৭ হাজার টাকা ভর্তুকি দিয়ে টিকেট রি-ইস্যু করতে হতো, তা নেওয়া যাবে না ৩) রাত ২টা পর্যন্ত জাহাঙ্গীরকে মানসম্মত হোটেলে থাকা-খাওয়া ও যাতায়াতের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে ৪) রিজার্ভেশন অফিসের যেসব কর্মকর্তা যাত্রীর সাথে প্রতারণা ও দুর্ব্যবহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে ৫) ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

অনলাইন এবং অন্যান্য সূত্রে খবর নিয়ে জানা যায় যে, বর্তমানে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে শরীফ মো. ফরহাদ হোসেন ও মুহাম্মদ ইউসুফ নামে দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রায় দেড় বছর ধরে কর্মরত আছেন। এই দুই অফিসার যোগদানের পরই বদলে যেতে থাকে বিমানবন্দরের নানান অপরাধ এবং যাত্রী হয়রানির চিত্র। 'Magistrates, All Airports of Bangladesh' নামে একটি ফেসবুক পেইজ রয়েছে এই ম্যাজিস্ট্রেটদের। এই পেইজে চোখ বুলালেই বোঝা যায়, অনলাইন সেবার বিভিন্ন প্রায়োগিক উদাহারণ! শত শত অভাবনীয় রিমিডি দিয়ে যাচ্ছেন তারা এই পেইজের মাধ্যমে। ইনবক্সের অভিযোগ পেয়ে এক বছর আগে হারানো লাগেজের ক্ষতিপূরণ আদায় করে দেওয়ার মতো নজিরের বিশদ বর্ণনাও রয়েছে এই পেইজে।

খবর নিয়ে আরো জানা যায় যে, বিমানবন্দরের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে পেইজটি আতঙ্কের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে পেইজটি বন্ধ করার জন্য নানান ষড়যন্ত্র ও হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানা যায়।

এ প্রতিবেদক ফেসবুক পেইজে প্রদত্ত মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে এক ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে যোগাযোগ করে পেইজ নিয়ে ষড়যন্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, 'আমরা চাই আমাদের পেইজ এবং মোবাইল নম্বর প্রতিটি যাত্রীর কাছে আস্থা হিসেবে গড়ে উঠুক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সেবা জনগণের দরজায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। আমরা কেবল আন্তরিকতার সাথে আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। কাজ করতে গেলে অনেক ধরনের সমালোচনা, বাধা আসবে। সেগুলো আইনগতভাবে মোকাবিলা করে কাজ করতেই রাষ্ট্র আমাদের নিয়োগ দিয়েছে এবং সরকার বেতন দিচ্ছে। আমাদের কাজ আমরা করে যাবই, বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। '

দেশের যেকোনো বিমানবন্দরে যেকোনো বিপদে পড়লে 01787661166 এই নম্বরে ফোন করতে বলা হয়েছে।
সুত্র: দৈনিক 'কালের কণ্ঠ' অনলাইন।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Wednesday, January 23, 2019

Preface to Travel Awareness!


স্কুল অব অ্যাওয়ারনেস এর "ভ্রমণে সচেতনতা" বিভাগে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের বিষয়ে সচেতনতামূলক পরামর্শ পাবেন।