Tuesday, February 12, 2019

বিমান ভ্রমণের সময় ফোন বন্ধ করে কিংবা Airplane Mode দিয়ে রাখুন!


বহুবার বিমান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। বিমান উঠার সময় অনেককে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখেছি। বারবার সংকেত দেওয়ার পরেও অনেকে মনে করেন এটা শুধু শুধুই একটা বার্তা।

নিরাপদ আকাশ ভ্রমণের দায়িত্ব শুধু পাইলটের একার নয়। যাত্রীদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। আমি এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নই। তবে ভ্রমণের প্রচুর অভিজ্ঞতায় যাত্রীদের কিছু ডেস্পারেট আচরণ আমার চোখে পড়েছে। এসব আচরণের কারণে যেকোন সময় সদ্য ঘটে যাওয়া নেপাল দুর্ঘটনার মতো ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই বিমান ভ্রমণের সময় নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলুন-

১) প্লেন গ্রাউন্ড থেকে আকাশে উঠার সময় এবং আকাশ থেকে গ্রাউন্ডে নামার সময় মোবাইল চালু রেখে কথা বলার অভ্যাস পরিহার করুন।

২) ওয়েটিং রুমে অপেক্ষারত অবস্থায় প্রিয়জনদের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতে পারেন। তারপরও অহেতুক প্লেন ছেড়ে দেওয়ার সাথে সাথে কেন প্রিয়জনদের সাথে কথা বলতে হবে? প্রিয়জনদের কাছে "এইমাত্র প্লেন আকাশে উঠে যাচ্ছে" এই নিউজের চাইতে সুস্থভাবে আপনি ফিরে আসাটা অধিক কাম্য।

৩) বিমান মাটি স্পর্শ করার আগে কেন মোবাইল অন করে রিস্ক নিয়ে প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন? আর মাত্র কয়েক মিনিট পরেই আপনি রিস্ক ফ্রি ভাবে সেই সুযোগ পাবেন। এরপর ইমিগ্রেশন লাইন ধরা এবং লাগেজের জন্য ওয়েটিং করা অবস্থায় আপনার হাতে মোবাইল আলাপের জন্য প্রচুর ফ্রি সময় আছে।

৪) বিশেষজ্ঞ নই তবে এটুকু বুঝতে পারি, এই দুই বিশেষ সময়ে প্লেনের পাইলট এবং কন্ট্রোল টাওয়ারের মধ্যে ম্যাসেজ আদান প্রদান চলে। ম্যাসেজের সামান্য হেরফের কিংবা ভুল বুঝাবুঝির কারণে সদ্য ঘটে যাওয়া "নেপালের ত্রিভুবন ট্রাজেডি"র মতো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আপনার অন রাখা ফোনের সিগন্যাল পাইলট ও কন্ট্রোল টাওয়ারের মধ্যেকার ম্যাসেজ আদান প্রদানে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে। এতে সমস্যা না হলে এই দুই বিশেষ সময়ে প্লেনের ক্রু ভাই বোনেরা আমাদেরকে বারবার মোবাইল সুইচ অফের তাগাদা দিতেন না।

৫) এই সময়ে প্রযুক্তিগত কারণে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয়তা আছে বলেই সব মোবাইল ফোনেই Airplane Mode অপশনটি সংযুক্ত করা থাকে; এখন সেটা ব্যবহার করার জরুরি দায়িত্বটা আপনার-আমার-সবার।

সতর্ক হোন। আপনার মুহুর্তের ফ্যান্টাসি কয়েকশত মানুষের জীবনহানির কারণ হতে পারে। প্লেনের সিটে বসেই মোবাইল সুইচ অফ কিংবা এরোপ্লেন মুড করে দিন। পুনরায় গ্রাউন্ডে নেমে একেবারে থেমে না যাওয়া পর্যন্ত মোবাইল সুইচ অন বা টার্ন করবেন না।

নিজে সচেতন হোন। আপনার আশেপাশের কাউকে এমন ভুল করতে দেখলে বাধা দিন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

No comments:

Post a Comment